পুলিশ ব‍্যারাক জল থৈ থৈ : সমস‍্যা নিয়েই বসবাস পুলিশ কর্মীদের

30th July 2021 2:01 pm হুগলী
পুলিশ ব‍্যারাক জল থৈ থৈ : সমস‍্যা নিয়েই বসবাস পুলিশ কর্মীদের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সামান্য বৃষ্টি হলেই  জমে যায় জল। মশা,মাছি এবং সাপের ভয়ে অন্য ব্যরাকে চলে যাচ্ছে পুলিশ কর্মীরা।  শেওড়াফুলির  জিআরপি পুলিশের  রয়েছে দুটি ব্যারাক। একটি শেওড়াফুলি ইন্দিরাপার্কে আর একটি  তিন নম্বর এবং চার নম্বর প্লাটফর্মের সংলগ্ন এলাকায়। সামান্য বৃষ্টি হলেই চিন্তায় পরে যায় পুলিশ কর্মীরা। এক দিকে যেমন ব্যরাকে ঠোকার চিন্তুা পাশাপাশি টইলেটের ঘর জলের তলায়। ফলে সমস্যায় পরেছে জিআরপির পুলিশ কর্মীরা। শেওড়াফুলি ইন্দিরা পার্ক ব্যরাকে ঘর রয়েছে মোট পাঁচটি। এক সময় সবকটি ঘরে থাকতেন পুলিশ কর্মীরা। জল জমা সমস্যার  কারনে চারটি ঘরের পুলিশ কর্মীরা চলে গেছে অন্য ব্যরাকে। কোন রখম ভাবে জল যন্ত্রণা নিয়ে রয়েছে এক কর্মী। বৃষ্টি হলেই চিন্তায় পরে যায়। কি করে জল পেরিয়ে ব্যরাকে যাবে। জিআরপি সূত্রে খবর ব্যরাকের নিকাশির জল রেরোবার জন্য রয়েছে পাশেই ড্রেন। সেটি বৈদ্যবাটী পৌরসভার অধিনে রয়েছে। নিকাশির পরিষ্কার করার দায়িত্ব রয়েছে পৌরসভার। বহুবার পৌরসভাকে জানিয়ে কোন সুরাহা হয়নি। বছর দুয়েক আগে পরিষ্কার করা হয় ড্রেনটি। বেশ কিছু দিন জল জমার সমস্যা সমাধান হলেও। এখন আবাও এই সমস্যর মধ্যে পরেছে পুলিশ কর্মীরা। যাদের মানুষের সমস্যা সমাধান করার কাজ, তারাই ভুগছে জল যন্ত্রণা। বৈদ্যবাটী পৌরসভা সূত্রে খবর খুব তারাতারি জল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে সবাই। নিকাশি পরিষ্কারের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। সমস্যার সমাধান তারিতার হয়ে যাবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।